বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে-ধীরে আরো শক্তিশালী হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্র বন্দরের জন্য সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং চাঁদপুর অঞ্চলের দ্বীপ এবং চর সমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা’ ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬২ কিলোমিটার। দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে এটি ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার সকাল নাগাদ এ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া-বিদ শাহীনুর ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ” এটি এখনো অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় নয়। এটি এখনো মাঝারি ধরণের ঘূর্ণিঝড়। যেহেতু এটি সমুদ্রে অবস্থান করছে, সেজন্য সন্ধ্যা নাগাদ এর শক্তি বেড়ে যেতে পারে।”
ইসলাম জানালেন, জলবায়ুগতভাবে বাংলাদেশে এপ্রিল-মে মাস ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম।